Agaminews
Dr. Neem Hakim

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নামে মামলা


দৈনিক আমার খবর প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৬, ২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ন /
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নামে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নামে এই প্রথম মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়) আর তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদসহ (পুতুল) ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়াও দুই থেকে আড়াইশজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন তহমুল ইসলাম নামের ২৭ বছর বয়সী এক তরুণ। বাদী তহমুল ইসলাম ওরফে মাজহারুল জেলা সদরের উত্তর লতিবাবাদ এলাকার আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে। তহমুলের ভাষ্যমতে সে একজন বিএনপি কর্মী। আন্দোলনের সময়ে আহতও হয়েছিলেন। এই মামলার পরবর্তী আলোচনা উঠেছে এই প্রথম কোনো মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আসামি হয়েছে। তবে এ মামলায় আবদুল হামিদকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ১ নাম্বর আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে আর ২ নাম্বর আসামি করা হয়েছে শেখ রেহানাকে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনে সংগঠিত ছাত্র-জনতার গড়ে ওঠা ঐক্য-আন্দোলনকে দমন করতে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা ১ নম্বর থেকে ২০ নম্বর আসামি সারা দেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করে। কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সে জন্য ২১ থেকে ৪০ নম্বর আসামিদের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ কার্যকরের লক্ষ্যে ৪১ থেকে ১২৪ নম্বর আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমাসহ দেশি অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে আন্দোলন দমাতে এবং গণহত্যার নির্দেশ দেন।

এই মামলায় তায়েব উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হামিদের ঠিকানা মিঠামইনের কামালপুর উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র জনতার মিছিলে আসামিরা হামলা চালান। এ সময়ে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে এই মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের আহত করা হয়। তাছাড়া আসামিরা ককটেল, গ্রেনেড ও বোমা নিক্ষেপে ত্রাসের সৃষ্টি করেন পুরো এলাকায়।

মামলার বাদী তহমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি বিএনপির একজন কর্মী। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের তালিকায় নামও আছে। আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর অনেকটা সুস্থ থাকার কথাও জানান।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান ‘মামলাটির আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।