নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ নিকলীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজে নিয়োজিত কোটি টাকা মূল্যের এসকোভেটর পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় মামলা হলে একজন আসামিকে পরদিন রাতে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করে।
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের ভাটিভরাটিয়া এলাকার ধনু নদীর পাড়ে তানভীর মিয়ার কোটি টাকার অধিক মূল্যের একটি এসকোভেটর -৭ ভ্যাকুতে উপরে নিচে বিভিন্ন ধরণের লাকড়ির সাহায্য পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে এতে আনুমানিক ৩২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। এই মর্মে ১৮ তারিখ রাত সাড়ে ৯টার নিকলী থানায় ভ্যাকু মালিক তানভীর লিখিত অভিযোগ দিলে উক্ত তারিখে ৪৩৫/৪২৭/৫০৬/৩৪ প্যানাল কোডে একটি মামলা রুজু হয়। যার মামলা নং-৩ । এই মামলার ২নং আসামী রাজিবকে তার ভাটিভরাটিয়ার নিজ বাড়ি থেকে মাঝ রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। মামলায় এজাহারে উল্লেখ রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন নিকলীর ধীরুয়াইল হইতে সুলতানপুর বেরিবাঁধ রাস্তার কাজে নিযুক্ত থাকা ভ্যাকুটি ১৭ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে ভাটিভরাটিয়ার জহুর আলীর বাড়ির সংলগ্ন পূর্বপাশের ধনু নদীর পাড়ে কাজের জন্যে রাখা হয়। আনুমানিক আড়াই ঘণ্টা পর অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় রাজিব(৩৫) ভ্যাকুর উপরে-নিচে বিভিন্ন ধরণের লাকড়ি দেয়। এ সময়ে সহযোগী ইসহাক মেম্বার এতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে জুয়েল ওরফে ঝুনু (৫২) আর নবাব মিয়াসহ(৩২) আরও অন্তত ১৫ থেকে ২০জন জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়। ঘটনার সময়ে স্থানীয় সুমনসহ বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বাধা দিলে মারধর ও খুন জখমের হুমকি দেন বলেও মামলার অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুমনের ভাষ্যমতে,পরিকল্পিতভাবে পাশের ঘরে তালা মেরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বিত্তরা। ডাক চিৎকারের শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গেলে আগুনের দৃশ্য এবং আগুন ধরিয়ে দেয়া বেশ কয়েকজনকে সেখানে দেখতে পান। এ সময়ে মসজিদের মাইক দিয়ে ডাক দেয়া হলে আগুন ধরিয়ে দেয়া সকলেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
মামলার অভিযোগকারী সিংপুর ইউনিয়নের ভ্যাকু মালিক তানভীরের ভাষ্য, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই প্রকল্পের কাজ করাতে ভেতরে ভেতরে স্থানীয় কিছু লোকের সহ্য হয়নি। এ কারণে পরিকল্পিতভাবে কোটি টাকার অধিক মূল্যের এই ভ্যাকুতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়েছে। এটি মেরামত করতে গেলেও ৩০ লাখ টাকার উপরে খরচ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ঘটনার অন্যতম আসামি ইসহাক মেম্বারের ০১৯১১৬৭৩৪১৩ নাম্বারে ১৯ জানুয়ারি বিকালে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। আত্মগোপনে থাকায় বাকীদের সাথেও যোগাযোগ সম্ভব হয়ে উঠেনি।
নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিন জানান, গত ১৮ তারিখ রাত সাড়ে ৯ টায় মামলা হয়েছে। মামলার পরবর্তীতে মাঝরাতে রাজিব নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবারে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান। বাকী আসামিদের বিষয়ে গ্রেফতার অভিযান চলমান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :